এ ডলস্ হাউস নাটকে ইব্সেনীয় বাস্তবতা ও নোরা [ সৈয়দ আনোয়ারুল হক ] : নরওয়ের কালজয়ী নাট্যকার হেনরিক ইব্সেন নাট্যশিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে নানাবিধ কৌশল উদ্ভাবন করেছেন এবং অত্যন্ত সার্থকভাবে তা প্রয়োগ করেছেন তাঁর নাটকে। অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত তাঁর নাটক হয়ে উঠেছে বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি। সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতার নাটক (plays of social and psychological realism) অভিধায় চিহ্নিত হয়েছে তাঁর অধিকাংশ নাটক।

নাট্য সমালোচনায় পরবর্তীতে এই প্রবণতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘ইবসেনীয় বাস্তবতা’ নামে। “আধুনিক বাস্তবতার জনক” নামে অভিহিত ইবসেন হচ্ছেন প্রথম ইউরোপীয় নাট্যকার যিনি দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা ও পরিবেশকে নাটকে উপস্থাপিত করে ইউরোপীয় নাট্য আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেন। এ ডলস্ হাউস নাটকটি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য এ কারণে যে নোরা চরিত্র চিত্রণে ইব্সেনীয় বাস্তবতা এ নাটকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
এ ডলস্ হাউস নাটকে ইব্সেনীয় বাস্তবতা ও নোরা
নাট্য গবেষক রবার্ট ক্রস্টেইন ইব্সেনের নাটক প্রসঙ্গে দ্য থিয়েটার অব রিভোল্ট গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন : “নাটক লিখতে ইবসেনের যে সমস্যা হয়েছিল তার সমাধান সকল আধুনিক নাট্যকারকে খুঁজে নিতে হয়েছে এভাবে তাঁদের ভাবতে হয়েছে বাস্তবতাকে পুরোপুরি অগ্রাহ্য না করে কিভাবে বাস্তব ও কাল্পনিক পৃথিবীর মধ্যে যোগসূত্র বের করা যায়” (১৫)। এই সমালোচক লিখেছেন : “ইব্সেন অনুপ্রাণিত হয়েছেন তাঁর অন্তঃস্থ জীবনের (inner life) অভিজ্ঞতা, মেধা, মনন ও আধ্যাত্মিক বিকাশের শক্তিসমূহের দ্বারা,” এগুলিই ইবসেনের নাটকে বাস্তবতার নিয়ামক শক্তি।

আটলান্টিকের উভয় তীরে যে নাটক সবচেয়ে বেশী আলোড়ন তুলেছিল তা হ’ল ইবসেনের এ ডলস হাউস। এ নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্র নোরা’র মাধ্যমে সমকালীন সমাজের নিষেধের দেয়াল ভেঙ্গে একজন নারীর ব্যক্তি স্বাধীনতাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী ও সন্তানদের পরিত্যাগের লক্ষ্যে সশব্দে দরজা বন্ধ করে নোরা’র চলে যাওয়াকে নারী স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক হিসেবে দেখা হয়েছে নাটকে। নোরা’র এই পদক্ষেপ ইউরোপের সমকালীন সমাজ কাঠামোতে ছিল অকল্পনীয়।
পুরুষ-শাসিত ইউরোপীয় সমাজে পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে নারীর মুক্তি অর্জন নোরা চরিত্রের উপজীব্য বিষয়। পারিবারিক বিদ্রোহের এই ঘটনা প্রতীকীভাবে নাটকে উপস্থাপিত হয়েছে একান্ত বাস্তবতার নিরিখে। চরিত্র চিত্রণে ইসেনের বাস্তবতার ব্যবহার নাটকের প্রথম দৃশ্যেই লক্ষণীয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের আত্মতৃপ্ত গৃহবধূ নোরা’কে আমরা দেখি তার আবেগ আর স্বপ্নের মাঝে দোলায়িত। ব্যারিস্টার স্বামী হেলমার আর তিন সন্তান নিয়ে নোরা’র সুখের সংসার, যদিও আর্থিক সঙ্কটের টানাপোড়েনে নোরা কিছুটা ক্লান্ত।
স্বামী তাঁকে আদর করে নানা ধরনের পাখীর নামে ডাকেন। তবে বাবার কাছ থেকে পাওয়া নোরা’র বেহিসাবী স্বভাবটা তাঁর অপছন্দ। নোরা’র পছন্দ মিষ্টান্ন, কিন্তু নোরা’র সুন্দর আকর্ষণীয় দাঁত নষ্ট হবার আশঙ্কায় হেলমারের তাতে নিষেধাজ্ঞা। তবে স্বামীর সাথে নোরা’র দৃষ্টিভঙ্গির বড় পার্থক্য আর্থিক ব্যাপারে। স্বামী ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের আকর্ষণীয় বেতনের চাকুরী পাওয়ায় আট বছরের বিবাহিত জীবনে এই প্রথম সুখের স্বপ্ন দেখেন নোরা।

নতুন বছরেই চাকুরীতে যোগ দেবেন হেলমার। কিছু টাকা ঋণ নিয়ে সংসারকে গুছিয়ে নিতে চান নোরা, কারণ এ ঋণ এখন সহজেই শোধ দেয়া যাবে। কিন্তু তাঁর নীতিবাগিশ স্বামীর ঐ এক কথা : “কোন ঋণ না, ধারও না” (No debt, no borrowing.) 1 হেলমারের এই নেতিবাচক অনুভূতির কারণেই একটি ব্যাপারে নোরা তাঁকে কিছুই জানাননি। ঘুণাক্ষরেও বলেননি যে হেলমারের মারাত্মক অসুখের পর ডাক্তার উষ্ণতর আবহাওয়ায় হাওয়া বদলের যে পরামর্শ দিয়েছিলেন তা কার্যকর করতে তাঁকে কি ভান করতে হয়েছিল। নোরা বলেছিলেন গর্ভাবস্থায় তাঁর নিজের হাওয়া বদল প্রয়োজন। আর এভাবেই স্বামীকে রাজী করিয়েছিলেন ইটালী যেতে। এ ক্ষেত্রে নোরা চরিত্রের প্রেষণা ( motivation) ও উপস্থাপনা পুরোপুরি বাস্তবসম্মত।
হেলমারের সঠিক মূল্যায়নের ব্যাপারেও নোরা’র বাস্তবতা লক্ষণীয়। নোরা হেলমারের মনোভাব থেকে বুঝে নিয়েছেন, স্ত্রীর ঋণ করা টাকার কথা জানলে হেলমারের আত্মসম্মানবোধ ক্ষুণ্ন হবে। স্বামীর ‘আমিত্ব’ বোধের প্রতি নোরা সচেতন। সুতরাং স্বামীর জীবন রক্ষার্থে ও অর্থ ঋণের ব্যাপারটা তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি করত। তার চেয়ে বড় কথা, অর্থ ঋণ করা হয়েছে হেলমারের স্কুল সহপাঠী ক্রগস্টাড-এর কাছ থেকে, ব্যাঙ্কে যে হেলমারের অধীনস্ত।
স্বামীর সম্পূর্ণ অজান্তে অশেষ কষ্টে নোরা কিস্তিতে ঋণ শোধ করছিলেন, কখনও সুচীকর্ম বিক্রী করে, কখনও স্বামীর দেয়া পোষাক কেনার টাকায় স্বল্প দামের পোষাক কিনে। তবে ঋণ গ্রহণের সময় নোরা পরিস্থিতির কারণে যা করেছিলেন তার আইনী তাৎপর্য তাঁর অজানা ছিল। ঋণের দলিলে জামিনদার হিসেবে তাঁর পিতার স্বাক্ষরের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তখন তিনি মৃত্যু পথযাত্রী। তাই নোরা নিজেই স্বাক্ষর করেছিলেন পিতার নাম।
পিতার মৃত্যুর তারিখ (২৯ সেপ্টেম্বর) ও স্বাক্ষরের তারিখ (২ অক্টোবর) এই অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করে ক্রগস্টাড জালিয়াতির ব্যাপারটা ধরে ফেলে। নাটকে জালিয়াতির ব্যাপারটি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এ কারণে যে অতীতে এক জালিয়াতির কারণে ক্রগস্টাড জীবনে অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছে। ইতিমধ্যে ব্যাঙ্কের চাকুরীও কেড়ে নিয়েছে হেলমার ব্যক্তিগতভাবে তাকে অপছন্দের কারণে, আর ঐ পদে নোরা’র বান্ধবী ক্রিস্টিনার নিয়োগ দানের ব্যাপারটাও পাকাপাকি হয়েছে। ক্রগস্টাডের প্রস্তাব, নোরা’কে তার স্বামীর ওপর প্রভাব খাটিয়ে চাকুরীতে ফিরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় ঋণের গোপন ব্যাপারটি সে তাঁর স্বামীকে জানিয়ে দেবে। মনস্তাত্ত্বিক নিরিখে ক্রুগস্টাডের এই ব্ল্যাকমেল প্রচেষ্টা অতি স্বাভাবিক।

পুরো নাটকেই আমরা দেখি মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতা নোরা’র সকল কর্মকাণ্ড ও ভাবনাকে চালিত করেছে। ইটালীতে শেখা মৎস্যকন্যার নাচ টারানটেলা’র প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহের মূল কারণ হল : এই নাচে আকর্ষণীয় অঙ্গভঙ্গির কারণে হেলমার তাঁর প্রতি আরো আকৃষ্ট হন। নাচের অনুশীলন করার সময় নোরা মাত্রাতিরিক্ত আবেগে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ভাবে নেচেছিলেন হেলমারের সকল আকর্ষণ ধরে রাখতে, যাতে ক্রগস্টাডের লেখা চিঠি তিনি মেলবক্স থেকে এনে পড়ার সুযোগ না পান।
নোরা’র এই আচরণ মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতায় পরিপূর্ণ। নাটকের শেষাংশে হেলমার যখন ক্রুগস্টাডকে ক্রিমিনাল হিসেবে ধিক্কার জানান এবং তার সম্পর্কে কটূক্তি করেন, নোরা’র মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয় যে ক্রগস্টাডের উদ্দেশ্যে বলা মন্তব্যগুলি আসলে হেলমার তাঁকে লক্ষ্য করেই বলেছেন। নিজেকে ক্রিমিনাল ভেবে নোরা ভীষণভাবে মুষড়ে পড়েন ও মানসিক যন্ত্রণায় জর্জরিত হন। তবে মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতা ব্যবহারে আমরা ইবসেনের মুন্সিয়ানার পরিচয় পাই ঐ দৃশ্যে যখন হেলমারের চরম স্বার্থপরতার রূপ দেখে নোরা হতবাক হয়ে যান।
নোরা’র ধারণা ছিল যে ঋণের ব্যাপারটা জানলে নোরা’র প্রতি তাঁর প্রচণ্ড ভালবাসার কারণে হেলমার পুরো দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেবেন এবং ক্রগস্টাডের মুখোমুখি হবেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটে সম্পূর্ণ উল্টো ব্যাপার। ক্রগস্টাডের চিঠিতে সব জেনে নিজের আত্মমর্যাদার ব্যাপারে শঙ্কিত হয়ে ওঠেন হেলমার। প্রচণ্ড রূঢ় আচরণ করেন তিনি নোরা’র সঙ্গে এবং কাপুরুষের মত ক্রগস্টাডের সঙ্গে আপোষ করার প্রস্তাব দেন।

নোরা বুঝতে পারেন তাঁর স্বামী শুধু স্বার্থপর এক কাপুরুষ, তাঁকে তাঁর নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবেই গণ্য করেছেন, তাঁকে রূপান্তরিত করেছেন এক পুতুল-স্ত্রীতে। প্রচণ্ড এই মানসিক বিপর্যস্ততার মুহূর্তে নোরা’র দৃষ্টিশক্তি খুলে যায়। তিনি আর পুতুল-স্ত্রী হতে চাননা, হতে চান আত্মমর্যাদাশীল একজন ব্যক্তি। নোরা’র যন্ত্রণাময় উপলব্ধি : বর্তমান জীবনচক্র থেকে মুক্তি লাভই একমাত্র বাস্তব সমাধান। প্রচণ্ড দ্রোহে নোরা স্বামী-সন্তানদের মায়া ত্যাগ করে গৃহ পরিত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
তবে এ ডলস্ হাউস-এ ইব্সেনীয় বাস্তবতা একটি সত্য ঘটনার ভিত্তিতে উপস্থাপিত হয়েছে। নরওয়ের এক তরুণী লেখিকা লরা কাইলার ইব্সেনের ঘনিষ্ট বান্ধবী ছিলেন। তাঁকে আদর করে ইব্সেন পাখীর নামে ডাকতেন, ঠিক হেলমারের মত। তাঁর স্বামী যক্ষা রোগে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় ডাক্তার পরামর্শ দিলেন উষ্ণতর আবহাওয়ার দেশে হাওয়া বদলাতে, যেমনটি ঘটেছিল নোরা’র ক্ষেত্রে। নোরা’র মতই আর্থিক সঙ্কটে পড়লেন লরা এবং নোরা স্বামীর অজান্তে যেভাবে অর্থ ঋণ গ্রহণ করে দারুণ কষ্টে তা কিস্তিতে শোধ করছিলেন, লরা’র জীবনে ঘটল একই ঘটনা।
এই সঙ্কটময় মুহূর্তে লেখিকা ইব্সেনের শরণাপন্ন হন তাঁর দ্রুত লেখা একটি উপন্যাস ছাপানোর ব্যাপারে প্রকাশকদের প্রভাবিত করতে। কিন্তু ইব্সেন লেখিকার এই পরিকল্পনায় একমত হতে পারেননি এবং তাঁকে জানান : “স্বামী জীবিত যে সংসারে সেখানে তোমার মত স্ত্রীর হৃদয়ের রক্ত ঝরানোর কোন প্রয়োজন নেই। এটা অকল্পনীয় যে তোমার স্বামী পুরো ব্যাপারটাই জানেনা। সুতরাং তুমি অবশ্যই তাকে সব জানাবে। যে দুঃখ ও সমস্যা তোমাকে জর্জরিত করছে তা সমাধানের দায়িত্ব তার নিজ কাঁধে নিতে হবে।”

এ ডলস্ হাউস নাটকে আমরা ইব্সেনের অনুভূতির প্রতিফলন দেখি ক্রিস্টিনার মনোভাবে। নোরা কে ক্রিস্টিনা একই উপদেশ দিয়েছিলেন। লেখিকা লরা অবশ্য ইসেনের উপদেশ মেনে নেননি, যেমনটি নাটকে মানেননি নোরাও। লরা চেক জালিয়াতি করেন এবং বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর স্বার্থপর ও উদ্ধত স্বামী তাকে চিকিৎসারর জন্য মানসিক হাসপাতালে পাঠান। অবশ্য দু’বছর পর লরা’র স্বামীর মনোভাবে পরিবর্তন আসে এবং হাসপাতাল থেকে লরা’কে নিজ গৃহে ফিরিয়ে আনেন। নাটকের শেষাংশে নোরা’র স্বামীকে তাঁর সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করতে দেখি আমরা, কিন্তু আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদার যে জ্ঞান নোরা সদ্য লাভ করেছেন সে কারণেই হেলমারের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
নিবন্ধটির পরিসমাপ্তি টানা যায় দ্য থিয়েটার অব রিভোল্ট গ্রন্থে রবার্ট ক্রস্টাইনের মন্তব্য দিয়ে। আধুনিক নাট্যকারদের বাস্তববাদী স্টাইল সম্পর্কে সমালোচকের মন্তব্য: “বাস্তবতা, সত্তার অধীন হওয়া সত্ত্বেও নন্দনতত্ত্বের এক সর্বগ্রাসী রূপ, তথাপি প্রকটভাবে ব্যক্তি স্বাতন্ত্রে বিশ্বাসী আধুনিক নাট্যকারগণ আপেক্ষিকভাবে বাস্তববাদী স্টাইলে নাটক লেখেন।” এ ডলস্ হাউস নাটক বিশ্লেষণে আমরা দেখি, ইবসেন ঐ সব নাট্যকারদেরই একজন যিনি সামগ্রিকভাবে বাস্তবতা ব্যবহার করেছেন নাটক রচনায়, তবে বিশেষভাবে তা ব্যবহার করেছেন নোরা’র চরিত্র চিত্রণে। সমসাময়িক জীবনের জটিলতা তিনি এভাবেই নাটকে বাস্তবতার সঙ্গে উপস্থাপন করে কালজয়ী হয়েছেন বিশ্ব-সাহিত্যের পরিমণ্ডলে।
সহায়ক গ্রন্থ :
- রবার্ট ক্রস্টেইন : The Theatre of Revolt (An Approach to the Modern Drama), বস্টন Little Brown & Co., ১৯৬২।
- অটো হেলার : Henrik Ibsen Plays and Problems, নিউ ইয়র্ক : Houghton Miffin Co., ১৯১২।
- রিচার্ড হর্নবী Patterns of Ibsen’s Middle Plays, লন্ডন Associated University Press, ১৯৮১।
- রোনাল্ড গ্লে: Ibsen- A Dissenting View ( A Study of the Last Twelve Plays), লন্ডন: Cambridge University Press, ১৯৭২।
- ব্রায়ান জনসন: The Ibsen Cycle, বস্টন Twain, ১৯৭৪।
- জন নরথাম Ibsen: A Critical Study, লন্ডন: Cambridge University Press, ১৯৭৩।
আরও পড়ুন: